হঠাৎ করে বজ্রপাতের কারণে মেয়েটি আমায় জরিয়ে ধরল।
আর তখন থেকেই আমার ক্লাস ফ্রেন্ডরা আমাকে খেপাতে লাগলো....
.
তখনও ভালোবাসাটা কি সেটা আমি বুঝতাম না। এবং মনে মনে ভালোবাসা নামক শব্দ টাকে ঘৃণা করতাম। মেয়েটির সাথে বন্ধুত্বের খুনসুটির মাঝে কেটে গেল আরো ২ বছর।
.
তারপর আমি গ্ৰামের ভিতর সব চেয়ে ভাল নতুন একটা প্রতিষ্ঠান এ ভর্তি হলাম। নতুন প্রতিষ্ঠানে কিছু দিন ক্লাস করার পর ধীরে ধীরে আমি ঐ মেয়েটিকে অনুভব করতে থাকি।
.
ওর হাসি টা ছিল অসাধারণ।
ওর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমি অনুভব করতে লাগলাম। বিশেষ করে ওর খুনসুটির মায়ার পরে গেছিলাম।ঐ প্রতিষ্ঠানে ওকে ছাড়া আমার শূন্য শূন্য লাগতো।
.
তাই আমি ওকে ছাড়া ঐ প্রতিষ্ঠানে বেশী দিন থাকতে পারলাম না। শুধু ওর প্রতি মায়ার কারণে। ঠিক অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার দিন আমি পরিক্ষা না দিয়ে চলে আসছিলাম আমাদের আগের প্রতিষ্ঠানে। ওখানে ২ দিন দেরিতে পরিক্ষা হওয়ার আমার ভালোই হলো। পরিক্ষা দেওয়া শেষ হলে। আমিই সর্বোচ্চ নম্বর পাই। কারন এর আগে কিছু দিনের জন্য যে প্রতিষ্ঠানে ছিলাম ওখান থেকে প্রায় সব বই শেষ করে ছিলাম। যাই হোক, ক্লাস খোলার পর যেকোন ক্লাসের পড়াই আমি ভালো পরি। আগেই বলেছি আমার বই শেষ হইছিলো গ্ৰামের প্রতিষ্ঠান থেকেই।
.
তারপর থেকেই মেয়েটি আমার প্রতি আরে বেশি দুর্বল হতে লাগল।
.
আর হ্যা আমিতো ঐ মেয়ের পরিচয়ই দেয় নি ওর নাম হলো সুহা।
.
এমনি করে এ বছর টাও কেটে গেল। আর হ্যা আপনাদের তো বলাই হয়নি আমি বর্তমান প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসার পর আমার একটা বেস্টু হয়। আমার বেস্টুদের বাড়ির কাছে বছরের শুরুতে ইসলামিক জালসা হয় । তাই সে আমাকে নিমন্ত্রন করলো। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। হঠাৎ রাত ১টার সময় আমি কাঁদার আওয়াজ পাই।লাফ দিয়ে উঠে দেখি আমার বেস্টু কাঁদছে।ওর ব্রেকআপ হওয়ার কারণে। ওকে বুঝাতে বুঝাতে রাত তিনটা বাজলে আমি তখন ফ্রেস হয়ে ওর প্রেমিকার কাছে চিঠি লেখে দিলাম। চিঠি তো দেখলাম এখন পাঠাই কাকে দিয়ে। তখনই মনে পরলো সুহার কথা।
প্রাইভেট এ গিয়ে আমি সুহার মাধ্যমে চিঠিটা বেস্টুর প্রেমিকাকে দিতে বলি।
.
আর ধিরে ধিরে সুহার প্রতি দুর্বল হতে লাগলাম।
আর ওর প্রতি ভালোলাগা এক সময় ভালোবাসাতে ট রুপান্তর হয়ে গেল।