একটা চিরচেনা রেল ষ্টেশন,,
ট্রেনের অপেক্ষায় আমি বসে আছি। ঠিক বছর কুঁড়ি পরে, তার সাথে আমার দেখা! সে বলল কেমন আছো?
আমি বললাম ঠিক যেমনটা রেখে গিয়েছিলে।
সে বলল, এখন তোমার সব কথাগুলো আমার জীবনের সাথে মিলে যায়। ইশ, তখন যদি পরিবারের কথা না শুনে, তোমার কথা শুনতাম, তাহলে হয়তো, আজ এভাবে আমাদের দেখা হত না।
তুমি কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম ঢাকায় যাচ্ছি বইমেলাতে।
এইবার আমার একটা উপন্যাস, আর কবিতার বই, বের হবে। সে বলল তুমি এখনও লেখালেখি কর। আমি বললাম হ্যাঁ, এখন আগের থেকে আরও বেশী লেখি। জীবনের গভীরতায় আর লেখার মধ্যে আজও তুমি আছো।
প্রতিদিন রাতে লেখার টেবিলে, একটি খাতা, কলম, একটি নতুন কবিতা, সিগারেটের ধোঁয়াই ও এক গ্লাস মদের মধ্যে তোমাকে খুঁজে পাই
সে বলল, বিয়ে করেছ? আমি বললাম ওইটা সমাজের বেধে দেওয়া একটা নিয়ম ও ব্যাক্তির প্রয়োজন। কেউ করে,আবার কেউ, করে না।
তবে না করার সংখ্যাটায় কম। আমি না করার দলেই আছি। এখন বিয়ের থেকে প্রেমটায় বেশি জ্বালায় আর পোড়ায়, তাই হয়তোবা সময় হয়ে ওঠে নাই। সে বলল, আমি বিয়ে করে, খুব একটা সুখে নাই। কারন এই সমাজ আর সংসার বড়ই স্বার্থপর।
একটু পরে হাতে, একটা কাগজ দিয়ে বলল, চলে যাচ্ছি, আবার যদি বেঁচে থাকি, বছর কুঁড়ি পরে, দেখা হতেও পারে, নাও পারে, ভালো থেকো, ভালো রেখো। কাগজটা খুলে দেখি, সেখানে লেখা আছে, তার বাড়ির ঠিকানা।
তারপর আমি কাগজটা নিয়ে তার কথা ভাবতে ভাবতে ট্রেনে উঠে, বইমেলায় রওনা দিলাম, আর ভাবলাম সেদিনের সেই ভুলটা, সে যদি না করত।
তাহলে আমি আজ তাকে এত ভালবাসতাম না। আর আজ এত বড় একজন লেখকও হতে পারতাম না।
ট্রেন চলে আর সেই গানটা মনে হয়,
" মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন, পাই না"