ইলশেগুঁড়ি রোদ্দুর, মন উড়ানো হাওয়া, চুলগুলো এলোমেলো কিন্তু জলজল।
আমি অপলক তাকিয়ে, হরিণী চোখে বাঁকা হাসি।
কি সমস্যা আপনার?
আমার দিকে ঢ্যাব ঢ্যাব করে তাকিয়ে আছেন?কে আপনি? মানুষ গুলো না মেয়েদের দেখলেই কেমন লোলুপ হয়ে যায়। আশ্চর্য।।।
রূপা তুই আমাকে চিনতে পারছিস না???
আনু ভাই তুমি!!! তোমার নাটক কেমন চলছে? আমার তোমার অভিনয় খুব ভালো লাগে।
তুই আমার নাটক দেখিস?
কি আশ্চর্য দেখবো না?
এতবড় দাড়ি রেখেছো
হুজুর হয়ে গেলে নাকি?
না আসলে একটা চরিত্রের প্রয়োজনে তৈরি হচ্ছি।
হুম তোমরা অভিনয় শিল্পীরা অনেক কিছুই পারো।
আমার ভাল্লাগে।
এতক্ষণ রুপা আর আমার মধ্যে কথা হচ্ছিল।
রুপা আমার খালাতো বোন। অনেক দিন পর আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসছে। ওকে নিতেই আমি বাসষ্ট্যান্ডে এসেছি। ও আমার থেকে দুবছরের ছোট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী। অনেক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আমি ঠিকই চিনেছি ওকে । আমি মনে মনে ভালবাসতাম রুপাকে। কিন্তু কোনদিনই বলতে পারিনি।
একটা অটো নিয়ে বাসার দিকে ছুটলাম।
যেতে যেতে অনেক কিছুই বললো রুপা আমাকে।
ও একটা বিরাট ঝামেলাই জড়িয়ে পড়েছে।
তাই বাড়িতে না গিয়ে আমার এখানেই কয়েকদিন থেকে আবার ফিরবে ঢাকায়।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা শেষ করে অতিথিশালায় অনেক আড্ডা হয় গাল গপ্পোহয়।
কিন্তু কোন সমস্যার কথা আমাকে বললো না রুপা আমিও জানতে চাইলাম না।
পরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে রেষ্টুরেন্টে আগে থেকেই অর্ডার করা খাবার নিয়ে এসে রুপা কে ডাকলাম। নাস্তা করার জন্য। ও উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে বসে আমার দিকে তাকিয়ে হাওমাও করে কাঁদতে লাগলো।
আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও আমাকে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে কান্নাকাটি। আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
বাবা মা আমাকে একা রেখে কবেই চলে গেছে।
ছোট বোনের বিয়ে কয়েকসপ্তাহ আগেই হয়ে গেল।
বাড়িতে আমি একা।
প্রতিবেশীরা কি মনে করে!!
রুপা আমাকে বল কি হয়েছে তোর?
আনু ভাই তুমি এত সুন্দর মনের মানুষ!
তুমি আমাকে ভালবাস একথা আগে বলো নি কেন?
আমি নিপার কাছে সব শুনেছি।
নিপা আমার ছোট বোন। ছোট হলেও আমরা একে অপরের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সবকিছু শেয়ার করতাম নিজেদের মধ্যে ।
আনু ভাই এই পৃথিবীতে সবাই ভালবাসতে পারে না।
তুমি তো আমাকে সত্যিই ভালোবাসো।
নাহলে আমার মতো একটা যুবতী মেয়ে, তোমার বাড়িতে, তুমি একা পেয়েও,,
অথচ দেখো আমি আমার জীবনের চেয়ে যাকে বেশি ভালোবেসেছি সে আমার চরম সর্বনাশ করেছে ।
এগুলো আবার ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করছে প্রতিনিয়ত।
আমি কি করবো আনু ভাই??
আমার সম্মান, আমার মা বাবা? আমি মৃত্যুর অপেক্ষায় আনু ভাই।।
আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না যে আমার কি করার আছে।
যাহোক অনেক ভেবেচিন্তে আমার থিয়েটারের বড়ভাই। আশিকুজ্জামান জুয়েল (এ.এস.পি) ভাইকে বললাম।
উনি আমাকে যথাসময়ে যথাসাধ্য সাহায্য করে ঐ ভিডিও গুলো উদ্ধার করে আসামীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন।
প্রকৃত ভালোবাসার খোঁজে রুপা নতুন জীবন শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলো।
আর তার এই জীবনে আমাকে
Post a Comment
Post a Comment