ভালোবাসা যে যুদ্ধ বা প্রতিযোগিতার মতো এটা আমি আপনার প্রশ্ন থেকে এইমাত্রই জানলাম। ভাইরে… ভালোবাসার কোনো জয় পরাজয় নেই, ভালোবাসা শুধুই ভালোবাসা। ভালোবাসা একতরফা ভালো, দুই তরফাও ভালো কিন্তু তিন তরফা ভালো না। যাক, তরফা তুলে রাখি। কাজের কথা বলি।


যাকে ভালোবাসেন তাকে ভালোবাসার কথা বলুন। ভালোবাসার কথা বলার পরে তাকে ভাবতে সময় দিন। তখনই কোনো জবাব দিতে বলবেন না। তাকে নিয়ে আপনার সত্যিই যদি ভালো কোনো প্ল্যান থাকে তা-ও তাকে জানাবেন। আর যদি আপনার কোনো প্ল্যান না থাকে তাহলে অযথা জয় পরাজয় নিয়ে কথা না বলাই ভালো। যাকে ভালোবাসেন তার সবটুকু নিয়েই যদি বিয়ে করতে চান তাহলেই তাকে ভালোবাসার কথা বলুন। আজকাল মানুষ এতো ঘনঘন প্রেমে পড়ে যে এতো ঘনঘন কেউ দুঃস্বপ্নও দেখে না। সে যদি আপনাকে ভালোবাসে তাহলে তো সমস্যাই থাকলো না। আর যদি ভালো না বাসে তাহলে তাকে তার মতো থাকতে দিন। জোর করে আর যা-ই হোক ভালোবাসা হয়না।


ভালোবাসার জয় পরাজয় হয় না। মানুষের জীবনে বিশেষ কারো জন্য ভালোবাসা থাকে অথবা থাকেনা। ভালোবেসে কেউ জিতেনা কেউ হেরেও যায়না। এই একটা ব্যাপারে লাভ ক্ষতি নেই, চাওয়া পাওয়া থাকে। আপনি একজনকে চাচ্ছেন, হয়তো তাকে পাবেন অথবা পাবেন না।


জয় পরাজয় ভাবলেই সর্বনাশ। পরাজয় যারা সহ্য করতে পারেনা তারাই ভালোবাসার মানুষটির সাথে নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয় দিতেও দ্বিধাবোধ করেনা। যাকে ভালোবাসেন তাকে পেতেই হবে এমন কোনো ব্যাপার নেই। তাকে না পেয়েই তো ভালোবেসেছেন। এখন যেমন না পেয়েই ভালোবাসতে শুরু করেছেন তেমনি না পেলেও ভালোবেসে যাবেন যতদিন ভালোবাসা থাকে বুকের ভেতর। যাকে বিয়ে করবেন শুধু তাকেই ভালোবাসার কথা বলবেন।


আমি খুব চিন্তিত পরের প্রজন্ম নিয়ে। তারা ভালোবাসার অভাবে অনুভূতিহীন হয়ে যাবে। কারণ বিশ্বাস করার মতো একজন মানুষও থাকবেনা এমনকি বাবা-মাও না। একবার ভেবে দেখেন, এখন যারা একাধিক প্রেম করে তাদের সন্তানরা বাবা-মাকে কতোটুকু সম্মান করবে? পারবে না নিখাঁদ বিশ্বাস করতে, কারণ তারা বেড়ে উঠবে বাবা-মায়ের একাধিক সম্পর্ক নিয়ে বাজে আলোচনার মাঝে।


আগামি দিনের বাবা-মার জন্য শুভকামনা…